অনেক সময় অনাকাঙ্খিতভাবে ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব হয়ে যায়। কারো সঙ্গে ঝগড়া হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক মিটিয়ে ফেলা উচিত। দীর্ঘদিন নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্ব জেইয়ে রাখা অনুচিত।
রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিমের জন্য জায়েজ নয় যে, সে তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করবে। কেউ তা করলে সে মৃত্যুর পর জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৪)
ঝগড়াঝাটি হলে তখনই তা মিটিয়ে ফেলা দরকার। কিন্তু কোনো কারণে যদি সহজেই ঝগড়া না মিটে তাহলে অন্যদের এগিয়ে আসা এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভূমিকা রাখা উচিত। এটা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব।
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই-ভাই। সুতরাং তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায়, তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১০)
হাদিসেও এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারো দ্বন্দ্ব নিরসনের কাজকে হাদিসে দান-সদকার থেকেও উত্তম বলা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন— আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত ও সদকার চেয়ে উত্তম মর্যাদাকর বিষয় সম্পর্কে খবর দেব না? সাহাবিরা বলেন, অবশ্যই আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, বিবদমান বিষয়ে মীমাংসা করা।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৯)
খুলনা গেজেট/এএজে